ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প - অদ্ভুত আংটি - পর্ব: ৬

ভৌতিক গল্প - অদ্ভুত আংটি
💀☠️💀☠️💀☠️
পর্ব: ৬

মিম তো বেশ অবাকই হলো।ও ভাবলো , তারমানে আমি ওর চুল ধরাতে নয় বরঞ্চ ওই মুকুটটা ধরাতেই কি ডিভিল কুইন হেরে গেলো ? কিন্তু কেনো? সেদিন ওই লাঠিটা আজ ওই মুকুটটা এই দুটোর সাথে ডিভিল কুইনের বাচা মরার কি সম্পর্ক? মিম কিছুই বুঝতে পারছে না। না কি মিমের ডিভিল কুইনকে উপহাস করে বলা শেষ কথাগুলোই সত্য!
এসব ভাবতে ভাবতে মিম ছাদের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো রেয়ান মুখে এক হাত দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসছে। মিম ছেলেটাকে উঠতে একটু সাহায্য করল। যতই হোক বেচারর এই অবস্হার জন্য তো মিমই দায়ী। উঠে বসে রেয়ান মিমের দিকে কেমন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। পরে ও মিমের হাতটা ভালো করে দেখতে লাগল।
জীবনে কোনো মেয়ের হাতে কখনো মার খায় নি রেয়ান। তাও ছেলেদের সাথে বিভিন্ন কারনে লড়ার সময় যা একটু খেয়েছে তাতে ওর কোনো ব্যাথাই লাগে নি। ক্যারাটেতে ব্লাক বেল্ট পাওয়া ছেলে বলে কথা।
কিন্তু আজ মিমের হাতের এক থাপ্পড়ে ও যে অজ্ঞান হয়ে গেলো। আর খুব ব্যাথাও করছে বামপাশের গালটাতে।
নিরবতা ভেঙে রেয়ান মিমকে বলল," ওটা কি ছিলো? "
মিম কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
ও কিছু না বলে সোজা উঠে ছাদ থেকে নেমে গেল। রেয়ানও আর ওকে কিছু বলতে পারলো না।
এভাবে মিম ডেভিল কুইনের ঘটনাটা আর রেয়ান মিমের ঘটনাটা মনে করেই পুরো বিয়ের সময়টা পার করে দিলো। এর মধ্য বিয়ে শেষে বরযাত্রীদের বিদায় নেওয়ার পালা চলে এল। বর্ষা খুব কাদছে সাথে ওর আব্বু আম্মু আর ভাই বোনরাও। মিমেরও মন খারাপ। তবুও ওর চিন্তা ডিভিল কুইনকে নিয়ে। রেয়ানও যাওয়ার সময় মিমের দিকে বার বার দেখছিলো । কিন্তু মিমের সেদিকে খেয়াল নেই। সবাই গাড়িতে উঠে পড়েছে। গাড়িও ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে সব গোছগাছ করতে করতে রাত হয়ে গেলো। মিমরা আজ ওর মামা বাড়িতেই থেকে গিয়েছে। কাল সকালে মিম একবারে এখান থেকে কলেজে যাবে আর ওর আব্বু অফিসে। এদিকে রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমানোর চিন্তা করছে। সারাদিন সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে তাই সবাই ক্লান্ত।
সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। মিমও ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ মিমের মনে হল কেউ ওকে ডাকছে। ও গভীর ঘুমে থাকলেও ডাকটা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে। ও আস্তে আস্তে ঘুম থেকে উঠে গেলো। তখন বাড়ির দেয়াল ঘড়িটাত রাত তিনটার টং টং টং ঘন্টা বাজছে। মিম চোখ মেলে কাউকেই দেখলো না। ঘুম ঘুম চোখটা আবার একটু বন্ধ করতেই আবার ডাক শুনতে পেলো। এবার মিম ঘুম থেকে উঠে পড়ল। চারিদিকে তাকিয়ে দেখছে কিন্তু সবাই ঘুমন্ত এই রুমে। ওর খালাতো বোন বর্নী আর অবনীর সাথে ও বিছানায় রয়েছে। দুজনই তো ঘুমিয়ে আছে। তবে ডাকছেটা কে আমাকে এসব ভাবতে ভাবতে মিমের ওর হাতের দিকে চোখ পড়তেই ও দেখল আংটিটা থেকে আলো বের হচ্ছে।
এটা দেখেই মিম তো ভয়ে একদম বরফ হয়ে গেলো। ও ভাবছে ডিভিল কুইন আবার এই রাতে রুমে এসে সবার সামনে আক্রমণ করবে না তো। তাহলে কি হবে? বর্নী আর অবনী রুমে থাকতে ডিভিল কুইনের সাথে যুদ্ধ করলে তো ওরা টের পেয়ে যাবে। তখন কি হবে?
এসব ভাবছিলো মিম এমন সময় ও দেখলো ওর আংটির আলো থেকে আবছা একটু আলো বিছানার পাশে ফ্লোরে পড়ছে আর নিভছে। সেই আলোর মধ্যে দেখা যাচ্ছে আবছা একটা মূর্তি। যেটা বার বার সৃষ্টি হচ্ছে আর আলো নেভার সাথে সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
তবুও সেই আবছা ছায়ামূর্তি দেখে মিমের বুঝতে বাকি নেই যে ওটা ইরিনা। ইরিনা এবার কথা বলছে কিন্তু ওর কথাগুলো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কেমন ভাঙা ভাঙা কণ্ঠ।
মিম মনোযোগ দিয়ে ইরিনার কথা শোনার চেষ্টা করছে।
মিম বুঝল ইরিনা ওকে ছাদে যেতে বলছে। ও আর দেরি না করে ছাদে চলে এলো। ছাদে আসার সাথে সাথে ইরিনাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ওর কথাও এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
ইরিনা বলল," আসলে তোমাদের ঘরে সিগন্যাল যেতে অসুবিধা হচ্ছিলো যার কারনে এমন সমস্যা হচ্ছিলো। এখন ঠিক আছে। আসলে তোমাকে তোমার আসল কাজটাই এখনো বলা হয় নি যেটা জানানোর জন্যই আমি সিগন্যাল পাঠালাম। "
মিম বলল," আমার আসল কাজ তো পরে শুনবো। কিন্তু তার আগে বলো আমি ওই ডিভিল কুইনকে কিভাবে ধ্বংস করবো? ও যে আমার জীবনটা দোজখে পরিনত করে দিচ্ছে। তুমি জানো ও আজও আমাকে আক্রমণ করেছিলো? আর একটা বিষয় ওর নিজের গায়ে আঘাত করলে ওর কিছু হয় না কিন্তু সেদিন ওর লাঠিতে আর আজ ওর মুকুটে আঘাত করাতে ও আমার কাছে হেরে গেলো। এর কারন কী?"
ইরিনা বলল," তা বলার জন্যই তো তোমার সাথে কথা বলছি। আমাদের সন্দেহই ঠিক ছিলো। আমাদের ভেতরের একজন বিশ্বস্ত লোকের বিশ্বাসঘাতকতার কারনেই ডিভিল কুইন তোমার কথাটি জানতে পেরেছিলো। অবশ্য এখন তাকে ধরে আমরাও তার থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি ডিভিল কুইনের ব্যাপারে। "
মিম বলল," কি তথ্য? "
ইরিনা বলল," ডিভিল কুইনকে ধ্বংস করার উপায়। "
মিম বলল," কি ওকে ধ্বংস করার উপায় পেয়েছো? তাহলে তাড়াতাড়ি বলো।"
ইরিনা বলল," তবে এটা খুব কঠিন হবে তোমার জন্য। "
মিম বলল," যত কঠিনই হোক না কেনো ওকে আমার ধ্বংস করতেই হবে। ওকে মারার জন্য তো আমার নিজের জীবনটাও দিয়ে দিতে প্রস্তুত আমি। বলো কি করতে হবে আমাকে? "
ইরিনা বলল," তুমি ঠিক ধরেছো ডিভিল কুইন তোমার সাথে লড়ার আগে নিজের প্রানভোমরাটা যেকোনো কিছুতে আবদ্ধ করে আসে, যেটা ওর নিজের কাছেই রাখতে হয় যেমন ওই লাঠি আর মুকুট। কিন্তু তোমার কাছে ও বার বার হেরে যাওয়াতে ভীষন ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছে। ও এবার ভীষণ বড় শয়তানের সাধনা করে ওর প্রাণভোমরাটাকে একটা সুরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষন করে রেখেছে। ওকে মারতে হলে ওর ওই প্রানভোমরাটা ধ্বংস করতে হবে,তবেই ওর ধ্বংস। "
মিম বলল," ও এই কথা। ঠিক আছে আমাকে বলো প্রানভোমরাটা কোথায় আছে? আমি ওটাকে নিয়ে এসে সাথে সাথে ধ্বংস করে ফেলবো। বজ্জাত ডিভিল কুইন কোথাকার। ওর প্রানভোমরাকে আমি প্রানছাড়া ভোমরা বানিয়ে দেবো। "
ইরিনা বলল," তুমি ব্যাপারটা যতটা সহজ ভাবছো এটা ততটা সহজ নয়। না তো তোমার সেখানে যাওয়াটা সহজ আর না তো প্রানভোমরার নাগাল পাওয়া। "
মিম বলল, " কেনো কোথায় আছে সেই প্রানভোমরা? কোন সিন্ধুকে লুকিয়ে রেখেছে নিজের প্রানভোমরাকে ডেভিল কুইন? "
ইরিনা বলল," ডিভিল কুইনের সাম্রাজ্র, ব্লাক এলিয়েনদের আবাস 'মেরাসমাস' গ্রহে। "
মিম এবার একটু ভয়ই পেলো। ডিভিল কুইনটা কতবড় ডিভিল যে নিজের প্রানভোমরাকে সে নিজের গ্রহেই সংরক্ষন করেছে। কিন্তু এখন কি করে মিম যাবে ডিভিল কুইনের গ্রহে। আর গেলোই বা কিন্তু সেখান থেকে ওই ডার্ক এলিয়েনদের মোকাবেলা করে আর ডিভিল কুইনের মোকাবেলা করে কি করে ধ্বংস করবে ডার্ক কুইনের প্রানভোমরা। ডার্ক কুইনতো নিশ্চয় সচেতন থাকবে নিজের প্রানভোমরার ব্যাপারে। তবে কি করে ধ্বংস করবে মিম ডার্ক কুইন কে?
কিন্তু এখন কি করে মিম যাবে ডিভিল কুইনের গ্রহে। আর গেলোই বা কিন্তু সেখান থেকে ওই ডার্ক এলিয়েনদের মোকাবেলা করে আর ডিভিল কুইনের মোকাবেলা করে কি করে ধ্বংস করবে ডার্ক কুইনের প্রানভোমরা। ডার্ক কুইনতো নিশ্চয় সচেতন থাকবে নিজের প্রানভোমরার ব্যাপারে। তবে কি করে ধ্বংস করবে মিম ডার্ক কুইন কে?
ইরিনা আবার বলল," এখন তোমার কাজ শুধু ডার্ক কুইনকে ধ্বংস করাই নয়, এই পুরো মহাবিশ্বকে রক্ষা করা। ব্লাক এলিয়েনরা ইতিমধ্যেই মহাবিশ্ব ধ্বংসের নীলনকশা তৈরি করে ফেলেছে । ওরা মহাশক্তিশালী "থান্ডার বোমা" ব্যবহার করে এই মহাবিশ্বকে ধ্বংস করতে চায়। সে বোমা এতই শক্তিশালী যে একটা ব্লাস্ট হলেই একটা সৌরজগৎ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে একদম নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এটা ব্লাস্টের সাথে সাথে বজ্রপাতের মত সবকিছুতে বিদ্যুৎ ছিটকে পড়বে। সবকিছু বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। সেই বিদ্যুতের ভোল্টেজ এত বেশি হবে যে অপরিবাহী বস্তুও তার থেকে নিস্তার পাবে না।"
মিম বলল," এটা কি শোনালে ইরিনা? এখন কি করে সেই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করব আমি মহাবিশ্বকে? "
ইরিনা বলল," এত ভয় পেয়ো না। ওদের বোমা বানানোর কাজ এখনো শেষ হয় নি। এই বোমা নিউক্লিয় পারমাণবিক বোমার থেকেও শক্তিশালী, আর এটা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় বিপুল পরিমান ভারী ধাতুর। ইতিমধ্যেই ব্লাক এলিয়েনরা বিভিন্ন গ্রহের থেকে ভারী ধাতু সংগ্রহ করেছে। কিন্তু কত পরিমান সংগ্রহ করেছে তার তথ্য আমরা পাই নি। কিন্তু অনুমান করা হচ্ছে যা তারা সংগ্রহ করেছে তা দিয়ে তারা প্রায় ১০ টা " থান্ডার বোমা " তৈরি করতে পারবে। আমাদের এটা রুখতে হবে। তোমার জন্য আর একটা নিউজ আছে। "
মিম বলল," আবার কি নিউজ? "
ইরিনা বলল," ডেভিল কুইনের দলরা এখন তোমাদের পৃথিবী থেকে ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করতে চলেছে। "
মিম বলল," কি আমাদের পৃথিবী থেকে? "
ইরিনা বলল," হ্যা। "
মিম বলল," তাহলে এখন কি হবে? "
ইরিনা বলল," তোমাদের গ্রহ থেকে বিপুল পরিমান ইউরেনিয়াম নিয়ে তারা হয়ত দশটি ' থান্ডার বোমা' পুরোপুরি বানাতে চায়। কিন্তু তোমাকে এটা রুখতে হবে। "
মিম বলল," হায় হায় কি সর্বনাশ! আমি এখন ইউরেনিয়াম পাচার রুখবো কি করে? সারা পৃথিবীর মধ্যে কোথা থেকে ওরা ইউরেনিয়াম নিচ্ছে তাই তো জানি না। "
ইরিনা বলল," তোমাদের পৃথিবীতে আর পৃথিবীর চারপাশে বিভিন্ন কক্ষপথে ঘূর্ণনরত কৃত্রিম উপগ্রহে বসানো রাডারগুলোর যা কম্পাঙ্ক তাতে করে এলিয়েনদের শনাক্তকরা সম্ভব নয়। কারন এলিয়েনদের নভোযানের কম্পাঙ্ক তোমাদের পৃথিবীর রাডার ধরতে পারে না। কিন্তু কিছু শক্তিশালী এলিয়েন আছে মহাবিশ্বের নানা গ্রহে যারা অন্য অনেক গ্রহের থেকে আসা নভোযানের কম্পাঙ্ক শনাক্ত করতে পারে এবং তাদের নিজেদের নভোযানও অন্য গ্রহের নজরদারির কাজেও লাগাতে পারে। তাদের মধ্যে আমাদের গ্রহও একটি। আমাদের গ্রহে পৃথিবীর এমন অনেক তথ্য আছে যা পৃথিবীর বাসিন্দারাও জানে না। আর ব্লাক এলিয়েনরা পৃথিবীর কোথা থেকে আর কাদের সাহায্যে ইউরেনিয়াম নিতে চাচ্ছে সেই তথ্য আমি তোমাকে দিবো।"
মিম এবার বলল," আচ্ছা তা তোমরা এত শক্তিশালী তো আমাকে কেনো টানছো ওদের মারতে? তোমরাইতো পারো ওই ব্লাক এলিয়েন আর ওদের রানী ডেভিল কুইনকে ধ্বংস করতে। শুধু শুধু এই বেচারী আমাকে কেনো ওদের ধ্বংস করতে বলছো? তোমরা এত শক্তিশালী হয়েও যদি ব্লাক এলিয়েনদের সাথে না পারো তাহলে আমি কেমন করে পারবো? "
ইরিনা বলল," তুমি পারবে আমরা তা জানি কারন আমরা ভবিষ্যৎদর্ষী যন্ত্রের থেকে দেখেছিলাম তোমার ভবিষ্যৎ। "
মিম বলল," সত্যিই? তাহলে তুমি আমাকে একবার দেখাও আমার ভবিষ্যৎ। সেখানে আমার নিজেকে জয়ী দেখলে আর ডিভিল কুইনকে ধ্বংস করতে দেখলে আমি বুঝবো ভাগ্য আমার সাথে আছে। তখন আমি একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো। "
ইরিনা বলল," এটা সম্ভব নয়। কারন তুমি জানো না যে ভবিষ্যৎদর্ষী যন্ত্র একবার ব্যবহার করতে বিপুল পরিমান শক্তির প্রয়োজন হয়। ৬ টি 'থান্ডার বোমা' তৈরিতে যে শক্তি খরচ হয় একবার ভবিষ্যৎদর্ষী যন্ত্র ব্যবহার করতে সেই একই পরিমান শক্তি খরচ হয়। আর এই বিপুল পরিমান শক্তির আধার এখন আমাদের মজুত করা শক্তির বাইরে।তাই ভবিষ্যৎদর্ষী যন্ত্র এখন ব্যবহার করা সম্ভব নয় যে আমি তোমাকে তোমার ভবিষ্যৎ দেখাবো। "
মিম বলল," আচ্ছা ঠিক আছে ভবিষ্যৎ দেখাতে হবে না। তবে ব্লাক এলিয়েনরা কোথা থেকে ইউরেনিয়াম নিবে সেই তথ্যটা আমাকে দাও।"
ইরিনা বলল," কাজাখস্তানের কালাচি নামক এলাকায় আছে ইউরেনিয়ামের খনি। সেখানে বিপুল পরিমান ইউরেনিয়াম মজুদ রয়েছে। সেখানকার স্হানীয় একটা প্রভাবশালী গ্রুপের সাথে কন্টাক্ট করে ব্লাক এলিয়েনরা ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করতে চাইছে। সেই গ্রুপও এলিয়েনদের সাথে যোগ দিয়েছে ইউরেনিয়াম পাচারে। এলিয়েনদেরকে ইউরেনিয়াম পাচারে ওরাই সাহায্য করছে। ওদের লোভ দেখানো হয়েছে ওরা যদি ব্লাক এলিয়েনদের সাথে হাত মেলায় তবে ওদেরকে মেরাসমাস গ্রহের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওদেরকে আরো বোঝানো হয়েছে পৃথিবীর মতো দরিদ্র গ্রহে বাস না করে শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক গ্রহ, সমগ্র মহাবিশ্বের প্রানীরা যাদেরকে ভয় পায়, মহাবিশ্বের ত্রাস ব্লাক এলিয়েনদের দলভুক্ত করা হবে। তাই ওই লোভী, দেশদ্রহী লোকগুলো ব্লাক এলিয়েনদের সাথে হাত মিলিয়েছে। ওই দলের নেতা হচ্ছে 'কাজনাখ হেলেন্তা'।
মিম বলল," কাজাখস্তান! সে তো কত দূরের দেশ। আমি কিভাবে যাবো সেখানে? "
ইরিনা বলল," তুমি যদি কাজাখস্তানের সেই লোকগুলোর মুখোষ খুলে দিতে পারো তবে আন্তর্জাতিক মহলে তোমাদের দেশের নামে যে ভুলধারনা তৈরি হয়েছে তা দূর হবে। এখন তুমি থাকো অনেক সময় হল। Your first mission is starting now. "
মিম বলল," আচ্ছা আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব মিশন সাকসেসফুলভাবে কমপ্লিট করতে। "
ইরিনা বলল," আমি জানি তুমি সাকসেসফুল হবে। Good luck."
মিম বলল," হুমম তুমিও ভালো থেকো ইরিনা। Good bye."
ইরিনাও মিমকে bye bye দিয়ে সিগন্যাল কেটে দিলো।
মিম এবার ছাদের উপর দাড়িয়ে কিছুক্ষন একদম চুপ করে থাকল। এদিকে রাতের অন্ধকার হালকা হয়ে গিয়েছে।পূর্ব আকাশে লাল আভা ফুটেছে। কিছু কিছু ভোরের পাখি ডাকাডাকি শুরু করেছে। শহরের বুকে এই সকাল বেলাটাতেই তো শুধু একটু বুক ভরে শুদ্ধ বাতাস গ্রহন করা যায় কারন পরে যখন এই কর্মব্যস্ত শহরের কলকারখানা আর যানবাহন চালু হয়ে যায় তখন সেসব থেকে নির্গত ধোয়া বিষাক্ত করে দেয় শহরের বায়ুকে। তাই মিম সকালের এই শুদ্ধ বাতাসটা কখনো মিস করে না। রোজই উপভোগ করে।
মিম এই শীতের সকালের হালকা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভাবছে ওর ভবিষ্যতের কথা। ওর মিশনের কথা। আদৌ কি পারবে ও ওর মিশন সাকসেসফুল করতে? পারবে কি ডেভিল কুইন আর ব্লাক এলিয়েনদের হাত থেকে মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে? মিম এসব ভাবছিলো হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে উঠলো।
মিম এই শীতের সকালের হালকা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভাবছে ওর ভবিষ্যতের কথা। ওর মিশনের কথা। আদৌ কি পারবে ও ওর মিশন সাকসেসফুল করতে? পারবে কি ডেভিল কুইন আর ব্লাক এলিয়েনদের হাত থেকে মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে? মিম এসব ভাবছিলো হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে উঠলো।
মিম ফোন হাতে নিয়ে দেখে ওর ভাইয়ার ফোন। ফোন রিসিভ করে,
মিম বলল," হ্যালো ভাইয়া আসসালামুওয়ালাইকুম।কেমন আছেন? "
মিমের ভাইয়া বলল," ওয়ালাইকুমুসসালাম। ভালো। তোরা কেমন আছিস? "
মিম বলল," ভালো। কি কোরছেন ভাইয়া?"
ভাইয়া বলল," এই তো অফটাইমে আছি। যা বলার জন্য তোকে ফোন দিয়েছিলাম শোন, সেই এলিয়েনদের নভোযানের কথা মনে আছে তো তোর? "
মিম বলল," হ্যা মনে আছে তো। কেনো কি হয়েছে? "
মিমের ভাইয়া বলল," সেই নভোযান আবার পৃথিবীতে এসেছিলো এবং সেটা বাংলাদেশের আকাশসীমায় দেখা দিয়েছিলো। এজন্য বাংলাদশ এখন আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বেশ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। তোরা একটু সাবধানে চলাফেরা করিস। "
মিম এবার মনে মনে ভাবল কাজাখস্তানের ব্যাপারটাতে একমাত্র তার ভাইয়াই সাহায্য করতে পারে তাকে। কোনো ভাবে আন্তর্জাতিক মহলের নজর যদি ইরিনাদের উপর থেকে উঠিয়ে ওই ব্লাক এলিয়েনদের উপর ফেলা যায় তবেই আসল কাজ হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক মহল যদি আমাদের দেশের উপর সন্দেহ পোষন করে রাখে আর ওদিকে ডার্ক এলিয়েনরা যদি ইউরেনিয়াম নিয়ে একবার চলে যায় তাহলে সেটা পুরো মহাবিশ্বের জন্য ক্ষতিকর হবে। কিন্তু কথা তো তা না, কথা হচ্ছে ইরিনারা ভিনগ্রহ থেকে নভোযানে আসে তা সবাই জানতে পারে কিন্তু ডার্ক এলিয়েনরা কি নভোযানে আসে না ? যদি এসেই থাকত তবে ওদের নভোযান বিজ্ঞানীরা ধরতে কেনো পারে না?
মিম এসব ভাবনায় ডুবে ছিলো।
ওদিকে মিমের ভাইয়া হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছে। ভাইয়ার কন্ঠ শুনে মিমের হুস এলো।
মিম ওর ভাইয়াকে বলল," ভাইয়া আপনি একটু বাড়িতে আসতে পারবেন? একটা দরকারি তথ্য দেওয়ার ছিলো এলিয়েনদের ব্যাপারে। "
মিমের ভাইয়া বলল," কি? এলিয়েনদের ব্যাপারে তথ্য! তুই কোথা থেকে পেলি?"
মিম বলল," ভাইয়া প্লিজ আসেন। খুব দরকারি কথা আছে। "
মিমের ভাইয়া জানে মিম তাকে কখনো মিথ্যা কথা বলে না। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করা সম্ভব না যে ও তাকে এলিয়েনদের ব্যাপারে তথ্য দিবে। কিন্তু বোন যখন এত করে বলল তখন তো আর না গেলেই নয়।
মিমের ভাইয়া বলল," আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আসার চেষ্টা করছি। যদিও এখন ছুটি পাওয়া এত সহজ হবে না তবে তুই যখন বলছিস তখন আসতেই তো হবে।"
মিম খুব খুশি হয়ে বলল," Thank you ভাইয়া। তাড়াতাড়ি আসেন। "
মিমের ভাইয়া, " আচ্ছা ঠিক আছে আসছি। "
মিম তো মহা খুশি। তার প্লানের First Step যে successful হতে চলেছে। এদিকে ও ছাদের থেকে নিচে নেমে দেখে সবাই কেবল মাত্র ঘুম ঘুম চোখে উঠেছে। কাল সবাই খুব পরিশ্রম করেছে তার উপর অনেক রাত করে ঘুমিয়েছিলো তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে সবার।
এদিকে মিম আজ ওর কলেজ যাওয়াটা ক্যান্সাল করে দিলো। সকালের নাস্তা করেই ওরা মামা বাড়ি থেকে বিদায় নিলো। ওরা এখন বাসায় যাচ্ছে।
এদিকে মিমের ভাইয়া তাদের স্যারের থেকে অনেক কষ্টে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরছে।
মিমরা দুপুরের দিকে বাড়িতে পৌছে গেলো। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে মিম লান্সটা করে একটা ঘুম দিলো। ওর ঘুম ভাঙলো প্রায় সন্ধ্যার দিকে ওর ভাইয়ার ডাকে। ভাইয়াকে দেখে তো ও ভীষন খুশি।
ওর ভাইয়া বলল," কি রে সেই দুপুরের থেকে এই পর্যন্ত এমন মুম্ভকর্নের মতো ঘুমাচ্ছিস কেনো। ঠিক আছিস তো তুই? "
আমি বললাম, " কই এত ঘুমাচ্ছি? আর ভাইয়া আপনি কখন এলেন? "
মিমের ভাইয়া বলল, " সেই অনেক্ষন আগে এসেছি। ভাবছিলাম তুই ঘুম থেকে উঠলেই তোর সাথে কথা বলব। কিন্তু তুই তো উঠার নামই নিচ্ছিস না। আর এদিকে আমার তোর কথা শোনার জন্য আর তর সইছিলো না তাই শেষমেশ জাগিয়েই তুললাম। আর হ্যা তোর জন্য কিছু বই নিয়ে এসেছি। এগুলো ধর। "
মিম বইগুলো নিয়ে ভাইয়াকে বলল," ভাইয়া আমি আপনাকে এলিয়েনদের ব্যাপারে কিছু বলতে চাই। "
মিমের ভাইয়া বলল," হ্যা, আমিও তো শুনতে চাই। বল। "
মিম এবার ওর ভাইয়াকে ইরিনাদের দেওয়া আংটির কথা, ইউনিভার্স রিং এর আশ্চর্য ক্ষমতার কথা , ব্লাক এলিয়েন আর ডার্ক কুইনের কথা সবকিছু খুলে বলল। আরো বলল ব্লাক এলিয়েনদের পৃথিবী থেকে ইউরেনিয়াম নেওয়ার কথা।
মিমের ভাইয়া তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলো না তবে একটা পরীক্ষা করে মিম বুঝিয়ে দিলো আংটিটার আশ্চর্য ক্ষমতা। মিম ওর ভাইয়ার থেকে খানিক দূরে গিয়ে দাড়ালো। ওর ভাইয়া ওর দিকে একটা কাচের গ্লাস ছুড়ে দিলো। গ্লাসটা মিমের গায়ে লাগার আগেই তখন মিমের চারপাশ দিয়ে সেই স্বচ্ছ দেয়াল তৈরি হয়ে গেলো। কাচের গ্লাসটার সেই স্বচ্ছ দেয়ালের সাথে আঘাত লেগে ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেলো।
মিমের ভাইয়া তো প্রথমে রাজিই হচ্ছিলো না ওর দিকে গ্লাস ছুড়ে মারতে । তবে মিমের জোরাজুরিতে চোখ বন্ধ করে গ্লাসটা ছুড়েছিলো। গ্লাস ভাঙার শব্দে চোখ খুলে দেখে মিমের কিছুই হয় নি, বরং গ্লাসটা ভেঙে গিয়েছে আর ওর চারদিকে দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে।
তখন ভাইয়া মিমের কথা গুলো বিশ্বাস করল।আর মিমের দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক কি না তা যাচাই এর জন্য ভাইয়া তার স্যারের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক গুপ্তচরদের সাহায্যে কাজাখস্তানের কালাচির উপর নজর রাখতে বলল।
পরে বাংলাদেশের প্রবাসী গুপ্তচররা খবর দিলো সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্হা করা হয়েছে।পুরো এরিয়াকে
ওভার সিকিউরড ভার্সুয়াল ওয়াল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেই নিরাপত্তা ভেদ করে ভেতরের খবর বের করা এত সহজ ছিল না। তবে কিছু সাহসী গুপ্তচর জীবনের ঝুকি নিয়ে সেখানকার এরিয়া হ্যাক করে ভেতরে গিয়েছিলো। তবে আর ফিরে আসে নি। তবে যেটুকু তথ্য তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে সেখানে কোনো গোলমাল আছে।
এই তথ্য সেনাবাহিনী থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে গেলে বাংলাদেশ সরকার কাজাখ সরকারের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করে। যদিও এক দেশ আর এক দেশের নিরাপত্তা বিধান লঙ্ঘন করে সেই দেশের গোপন কোনো তথ্য সংগ্রহ করে তবে সেটা অন্যায় তবে যদি সেই তথ্যটা সারা বিশ্বের সবার জীবন পালটে দিতে পারে তবে এ ধরনের তথ্য চুরি করে জানা অন্যায় হলেও অমানবিকতা নয়।
কাজাখ সরকার প্রথমে একটু ইতস্হত করছিল তাদের দেশের তথ্য অধিকার আইন ভঙ্গের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের কারনে তারা দমে যায়। বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে বলে, " যদি আন্তর্জাতিক মহল জানতে পারে এলিয়েন আমাদের দেশ নয় বরং আপনাদের দেশে এসে ইউরেনিয়াম পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী ধ্বংসের হাতিয়ার বানাতে তবে আপনাদের দেশের অবস্হা কি হবে ভেবে দেখেছেন? আর এর যতেষ্ঠ প্রমাণও আমাদের হাতে আছে। "
কাজাখ সরকার বলল," আপনারা কি চান? "
বাংলাদেশ সরকার বলল," আমাদের গুপ্তচরদের ফেরত দিতে হবে আর এলিয়েনদের রুখতে হবে। "
কাজাখ সরকার বলল," এটাতে আমাদের সরকারী কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আপনাদের গুপ্তচররা এখন কোথায় সেটা আমরাও জানি না। তবে আমি খোজ নিয়েছি। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আমরা হেয়ো হবো বলে নিজের দেশের ঘটনা নিজের দেশেই রেখেছি।তারা আমাদেরকে বলেছিলো সেখানে প্রবেশের চেষ্টা না করতে আর তারা আমাদেরও কোনো ক্ষতি করবে না। সরকারকে বিপুল পরিমান ট্রাক্স দিয়ে তারা ইউরেনিয়াম নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা যে পৃথিবী ধ্বংসের নীলনকশা করছে এটা আমাদের জানা ছিলো না। আমরা সত্যিই এখন এটা থেকে মুক্তি চাই। এখন ওই পুরো এলাকাটাকে এমন শক্তিশালী সিকিউরিটির মধ্যে রাখা হয়েছে যে আমাদেরও যাওয়ার সাধ্য হচ্ছে না। সেখানে এক রাতের মধ্যে যে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে তাতে কোনো বুলেট বিদ্ধ হয় না। সেখানে সকল প্রকার ইলেকট্রিক ডিভাইস নিষ্ক্রয় হয়ে পড়ে। এমন কি সেই এরিয়াতে কোনো বোমা ব্লাস্টের আগেই তা নিষ্ক্রয় হয়ে যায়। আকাশসীমাও ওদের দখলে। ওই এলাকার উপর দিয়ে কোনো ড্রোন,বিমান,হেলিকপ্টার কিছুই যেতে পারছে না।
বাংলাদেশ সরকার বলল," মুক্তি আমরাও চাই। তবে আমাদের মনে হয় না এই ব্যাপারটা আমাদের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব। আমাদের জাতিসংঘের সহায়তা নেওয়া দরকার। "
কাজাখ সরকার প্রথমে রাজি হচ্ছিলো না তবে অনেক বোঝানোর পরে রাজি হল। পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাথে একটা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল এই ব্যাপারে।
তারা প্রথমে কিছু সেনা মোতায়েন করল। কিন্তু তাদের কেউই ফিরে এল না। এবার ব্যাপারটা নিয়ে পুরো বিশ্বজুড়ে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হল। সব নিউজ টেলিকাস্ট, নিউজপেপার আর মিডিয়াতে ব্যাপারটা নিয়ে সোড়গোল বেধে গেল। আর সেই সাথে বাড়ল মানুষের মনে মৃত্যু ভয়। পৃথিবী জুড়ে মানুষ একটা আতঙ্কের মধ্যে পড়ল। সেই আতঙ্কের নাম হচ্ছে ব্লাক এলিয়েন
এদিকে বাংলাদেশেরও একই অবস্হা। সব মিডিয়াতে আর মানুষের মুখে মুখে এলিয়েনদের নানা গল্প। এলিয়েনরা সত্যিই ভয়ঙ্কর আর হিংস্র হয় এসব কথা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন আর বাচ্চাদের জুজু বা ভূতের ভয় দেখানো হয় না এখন বাচ্চাদেরকে এলিয়েনদের ভয় দেখানো হয়। অনেক বিজ্ঞানীরা এতদিন যেখানে ভিনগ্রহের প্রানীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলো সেখানে আজ তারা এলিয়েনদের থেকে বাচার উপায় খুজছে।
মিমও বেশ অবাক হয়েছে। একটা খারাপ সংবাদ কত দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল। আবার খুব খারাপ লাগছে মানুষের ভয়ার্ত মুখগুলো দেখে। আর সবার মুখে এলিয়েনদের ব্যাপারে খারাপ কথা শুনে ও মনে মনে বলে, সব এলিয়েনরাই খারাপ না। ভালোও আছে। "
এর ভেতরই প্রায় এক মাস সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে মহাবিশ্বের ত্রাস ব্লাক এলিয়েনরা এখন পুরো পৃথিবীরও ত্রাসে পরিনত হয়েছে।
অবশেষে জাতিসঙ্ঘ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিসঙ্ঘ এর সদস্য দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমান সৈন্যশক্তি, বিজ্ঞানী, ভার্সুয়াল হ্যাকার, আধুনিক থেকে আধুনিকতম অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুরো কালাচির এরিয়াটা ব্লক করে ফেলবে। তারপর ভার্সুয়াল ওয়ালটাকে ভার্সুয়াল হ্যাকাররা হ্যাক করে ফেলবে। এরপর বিজ্ঞানীরা ভেতরের পরিবেশ পর্যবেক্ষন করে সেখানকার উপযুক্ত অস্ত্র নির্বাচন করবে আর সৈন্যশক্তি সেইভাবে প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাটাক করবে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানী, বড় বড় হ্যাকার আর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সৈন্যদেরকে মনোনয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের সদস্যরাষ্ট্র হিসাবে এদেশ থেকেও সেনা মনোনয়ন হয়েছে। মিমের ভাইয়াও মনোনিত হয়েছে। তাকেও নিজের জীবন বাজি রেখে যেতে হবে কাজাখস্হান।
এদিকে লক্ষ করা যাচ্ছে ভার্সুয়াল প্রাচীরের উপর দিয়ে বিরাট বড় রকেটের মাথার মতো কোনো কিছু ওই ব্লকেজ এরিয়াতে তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারনা এটা রকেট যার ভেতরে করে এলিয়েনরা ইউরেনিয়াম নিয়ে যাবে। কিন্তু তাদেরকে যাবার আগেই রুখতে হবে। তাই জাতিসঙ্ঘ খুব তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
আজ মিমের ভাইয়ার ফ্লাইট। ওদের এলাকার সবাই এসেছে মিমদের বাসায়। ওর ভাইয়া যে এত মহৎ একটা কাজে যাচ্ছে। কেউ জানে না সে আদৌ ফিরে আসবে কি না। সবাই দোয়া করছে। আর এদিকে মিমের আম্মু তো কাদতে কাদতে শেষ। ওর বাবা যদিও ছেলের এই মহৎ কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন কিন্তু ভেতরে ভেতরে তিনি প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছেন। মিমও তো প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছে। তার একটা মাত্র ভাই। আর আজ ওই হিংস্র ডার্ক এলিয়েনদের হাতে তাকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। মিমের ভাইয়াও কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু দেশের সম্মান আর বিশ্বশান্তিতে নিজেরর জীবন দিতে তিনি মোটেই কুন্ঠা বোধ করেন না।
এবার ভাইয়া রওনা দিলো। সবারই কষ্ট হচ্ছে। মিম ওর আম্মু আব্বুকে একটু সান্তনা দিয়ে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। ঘরে এসে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ল।
ওর ঘুম ভাঙলো একটা বিকট হাসির শব্দে। ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলো ওর আংটিটা থেকে আলো বেরুচ্ছে। আর সামনে দাড়িয়ে আছে মেরাসমাসের রানী ডেভিল_কুইন।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

© bnbooks.blogspot.com

Bnbooks is one of the largest archieve storage of pdf books, Bengali story, Bangla Kobita, Lyrics and all Kinds of Literature. Tags: Free Bangla pdf books download, Bangla Kobita, Technology News, Song Lyrics.