ভৌতিক গল্প - অদ্ভুত আংটি
পর্ব:১
ছোট থেকেই বেশ চঞ্চল মেয়েটা।
পড়াশোনাতেও ফার্স্ট।
আবার রুপে গুনেও অনন্যা।
বই পড়া তার সবথেকে প্রিয় শখ।
এত অল্প বয়সেও সে বিখ্যাত অনেক লেখকের বই পড়ে ফেলেছে।
খেলাধুলায়ও সেরা।
এমা আমি শুধু ওর বর্ণনাই করে চলেছি।
পরিচয়টাই তো দেওয়া হল না।
এতখন যার এত প্রসংশা করলাম ওর নাম মিম।
আর আজ ওর কলেজের প্রথম দিন।
একটানা অনেক দিন ক্লাস বন্ধ ছিল বলে সকালে দেরি করে উঠার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আম্মু অনেক ডেকে তারপর উঠালে। তখন বাজে বেলা আটটা। ওর প্রথম দিনের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু হব নয়টায়।
তাই তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নিয়ে কোনো রকম ব্রেকফাস্টটা করেই কলেজে গেলো। ওর বাবার সাথে। কলেজে অনেক ছেলেমেয়ে। ও স্কুলে কখনো এত ছেলেমেয়ে একসাথে দেখেনি। তাই কেমন কেমন লাগছিল। হঠাৎ ওর স্কুল ফ্রেন্ডদের দেখতে পেল।
বাবা ওদের কাছে ওকে পৌছে দিয়ে অফিসে চলে গেলো। সবাই মিমকে দেখে তো খুব খুশি। মিমও খুশি। কতদিন ওদের সাথে দেখা হয় না। মিম ওর ফ্রেন্ড সার্কেলের চোখের মণি। ও এত সুন্দর ভাবে গল্প বলতে পারে যা শুনে সবাই মুগ্ধ হয়। তাছাড়া এমন ফানি জোকস বলতে পারে তা বলার মত না। ক্লাসের কারো মন খারাপ, ডাকো মিমকে। ক্লাসের কেউ কারো সাথে যদি বাজি ধরে তাকে হাসাতে পারলে ট্রিট দেবে, তবে ডাকো মিমকে। স্যারদেরকে কোনো বিষয়ে বলতে হবে, তবে ডাকো মিমকে। এক কথায় সবার সব প্রবলেম সলভের জন্য মিমের সরনাপন্ন হয়। এতে ওর মোটেই ঝামেলা মনে হয় না বরং ভালোই লাগে।
এমন সময় ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরুর ঘোষনা হল। ওরা সবাই তাড়াতাড়ি ক্লাসে চলে গেলো। মিম ক্লাসে ঢোকার সময় একটা মেয়ের সাথে বেশ জোরে ধাক্কা লাগল।মেয়েটার ভুলের কারনেই ধাক্কাটা লেগেছিল। কিন্তু সে একটু সরিও বলল না। মুখটা কেসন করে যেনো চলে গেল। মিম কিছুই বুঝতে পারল না। ও এই নিয়ে না ভেবে ক্লাসে চলে গেলো।
মিম ক্লাসে ঢোকার সময় একটা মেয়ের সাথে বেশ জোরে ধাক্কা লাগল।মেয়েটার ভুলের কারনেই ধাক্কাটা লেগেছিল। কিন্তু সে একটু সরিও বলল না। মুখটা কেমন করে যেনো চলে গেল। মিম কিছুই বুঝতে পারল না। ও এই নিয়ে না ভেবে ক্লাসে চলে গেলো।
ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে মেয়েটা ওর পাশের বেঞ্চে বসেছিল। মিম লুকিয়ে লুকিয়ে কয়েকবার দেখল মেয়েটা ওর দিকে কেমন রাগি লুক নিয়ে তাকাচ্ছে। মিম বেশ অবাক হল। যাই হোক ওরিয়েন্টেশন ক্লাসটা ভালোই কাটল। নতুনদেরকে কলেজের পক্ষ থেকে একটি কোর্সপ্লান ও সাথে একটি রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে বরণ করে নিল। আর পরের দিন থেকে ক্লাস ৯ টায় শুরু হবে বলে ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শেষ হল।
পরে মিমের আব্বু ওকে নিতে এলো। ও ওর ফ্রেন্ডদের বিদায় জানিয়ে বাসায় রওনা হল। বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসল। মিমেরা দুই ভাই বোন। ওর ভাইয়া ডিফেন্সে জব করে। অনেক দিন বাদে বাসায় ফিরল। তাই আজ খাবার টেবালে অনেক স্পেশাল আইটেম রয়েছে। ওরা পুরো ফ্যামিলি আজ একসাথে খেতে বসেছে। অনেক গল্প সল্পের মধ্যে খাওয়া শেষ হল। দুপুরে মিম একটা লম্বা ঘুম দিল। কারন পরে রাত জেগে আবার পড়তে হবে। ওর ভাইয়া ওর জন্য অনেক নতুন নতুন বই নিয়ে এসেছ। কারন সবাই জানে মিম একটা বইপোকা।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে মিম ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করেই বইগুলো নিয়ে বসল। সব বই ই ডিফেন্সের এ্যটাক, এ্যাকশান,থ্রিলার এসব কাহিনী নিয়ে। মিম এসব গল্প খুব পছন্দ করে কিনা। এই বইগুলোর মধ্য মিম একটা বই দেখল ভিন্ন ধরণের। নাম, "অদ্ভুত আংটি"।মিমের এই বইটা পড়তে বেশ আগ্রহ জাগল। বইটা লিখেছেন, ক্যাপ্টেন এ. এম. মুহিত।
ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করলে ভাইয়া বললেন তিনি সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি একজন সৎ আর ন্যায়বান অফিসার ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি লেখালেখি শুরু করেছিলেন। বেশ কয়টা বইও লিখেছিলেন তিনি। আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে তিনি এই "অদ্ভুত আংটি" বইটা লিখেছিলেন।আর দুক্ষের বিষয় এই যে বইটা ছাপার এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি গায়েব হয়ে গেলেন। মানে উধাও। আজ পর্যন্ত তার কোনো খোজ পাওয়া যায় নি। তিনি মারা গেছেন কি বেচে আছেন তাও কেউ বলতে পারে না।
মিম বেশ অবাক হল। এমনও আবার হয়। ও বইটা পড়া শুরু করল। বইটা একটা আংটিকে নিয়ে লেখা। যেই আংটির রয়েছে অসাধারণ ক্ষমতা। যা পরে একজন মানুষ সুপারম্যান হয়ে যতে পারে। আর আংটিটা পৃথিবীর কোনো আংটি না। এটা ভিনগ্রহের প্রানী অর্থাৎ এলিয়েনদের। আসলে এটা একটা গল্পের কথা হলেও মিমের মনে হল যেন সত্যিই এমনটা হয়। এটা লেখকের কাল্পনিক কোনো কথা নয়। পুরো বইটাতই আংটিটার নানা আশ্চর্য ক্ষমতার বর্ণনা। শুধু একটা পৃষ্ঠাতেই লেখা ছিল এই কথাটা যে এটা এলিয়েনদের আংটি। মিম একটানা বশে পড়ে পুরো বইটা পড়া শেষ করল। রাত হয়ে গিয়েছিল। মিমের আম্মু ওকে রাতের খাবারের জন্য ডাক দিল। ও বইটা রেখে খেতে গেলো।
বাবা,মা, ভাইয়া সবাই বসে ছিল। মিম আসতেই আম্মু ভাইয়াকে বলল, "তোকে কত বার বারন করেছি এবার আসার সময় কোনো বই নিয়ে আসবি না। এবার ওর কলেজের বই রয়েছে সেগুলো পড়বে। কিন্তু তুই আমার কথা শুনলি না। এখন সারাদিন ক্লাসের পড়া বাদ দিয়ে ওই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে "। মিমের ভাইয়া খুব ভালো, সে মিমকে সাপোর্ট করল।এবার আম্মু রেগে গিয়ে মিমের আব্বুর কাছে নালিশ দিল। মিমের আব্বু তো আর এক বইপোকা মানুষ, তিনি আর কি বলবেন। তিনি বললেন, "যতই পড়িবে ততই শিখিবে। "এবার মিম ওর আব্বু আর ভাইয়া একসাথে হেসে দিল। ওর আম্মুতো রেগে আটখানা। তিনি বললেন, " তুমিই মেয়ের মাথাটা খারাপ করবে। "
এভাবে গল্প সল্পের মধ্য দিয়ে ওদের রাতের খাবার শেষ হল। এবার মিম তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেল কারণ কাল আবার সকাল সকাল ওকে কলেজে যেতে হবে। মিম ঘুমের ভেতর একটা স্বপ্ন দেখল, "ওর আঙ্গুলে একটা নীল পাথরের আংটি। আর তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। কেউ ওর হাত থেকে আংটিটা খুলে নিতে চাইছে কিন্তু আংটির দ্যুতিতে তারা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে"। এই স্বপ্ন দেখে মিমের ঘুম ভেঙে গেল। ও বুঝতে পারল না এই স্বপ্নের মানে কি। কি অপেক্ষা করছে সামনে ওর জন্য।
মিম ঘুমের ভেতর একটা স্বপ্ন দেখল, "ওর আঙ্গুলে একটা নীল পাথরের আংটি। আর তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। কেউ ওর হাত থেকে আংটিটা খুলে নিতে চাইছে কিন্তু আংটির দ্যুতিতে তারা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে"। এই স্বপ্ন দেখে মিমের ঘুম ভেঙে গেল। ও বুঝতে পারল না এই স্বপ্নের মানে কি। কি অপেক্ষা করছে সামনে ওর জন্য।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিল মিম। কোনো রকম নাস্তা করেই কলেজে রওনা দিল। ওর বাবা ওকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেল। ওর দেখা হল স্নেহা,তিশা,রোহান,মধুমিতা,নীল আর শুভ্রর সাথে। ও ফ্রেন্ডসার্কেলের সাথে কথা বলছিল এমন সময় কালকের সেই মেয়েটা ওর সামনে আসল। মেয়েটা বলল,"হে ইউ তুমি মিম? অনেক শুনেছি তোমার কথা আর কাল দেখলাম।স্কুলের ফার্স্ট গার্ল না তুমি? ডিবেডিং এ জেলা পর্যায়ের সেরা বক্তা? ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ান? কিন্তু চিন্তা কোরো না আমি তোমার জায়গা ঠিকই দখল করে নেবো। আর তোমাকে হিরো থেকে একেবারে জিরো করে দেবো। " এটা বলে মেয়েটা রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেল।
মিমরা কিছুই না বলে অবাক হয়ে মেয়েটার কথা শুনছিল। মেয়েটাকে তারা কখনো দেখেই নি। আর হুট করে এসে একগাদা কথা শুনিয়ে চলে গেল। মিমের এমনিতে কোনো ব্যাপারে কারো উপর রাগ হয় না। কিন্তু কেউ ওর স্হান দখল করতে চাইলে ওর তার ওপর প্রচন্ড রাগ হয়। পরে ওর বান্ধুরা ওকে শান্তনা দিয়ে মেয়েটার খোজ নিল। জানতে পারল মেয়েটা ঢাকার কোনো একটা নামকরা স্কুল থেকে এসেছে। খুব অহংকারী আর হিংসুটে। ওর বাবা বড় ব্যাবসায়ী।ওর নাম তুলি।
মিম ভাবে তার সাথে ওর কোনো শত্রুতা নেই তবে এমন করার কি দরকার। আজ বেশ মনমরা হয়েই মিম বাসায় ফেরে। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে যায়।আজ মিম ওর ভাইয়াকে বেশ উদ্দিগ্ন দেখল। কারন জিজ্ঞাসা করায় ভাইয়া বলল,"বিদেশীরা বাংলাদেশের উপর নাকি একটা অপবাদ দিচ্ছে যে আমাদের দেশের কোনো গোষ্ঠি এলিয়েনদের সাথে মিশে গোটা পৃথিবীর রাজত্ব নিতে চাইছে। আজ থেকে তিন বছর আগে নাসার পর্যবেক্ষন মতে বাংলাদেশের আকাশ সীমার উপর একটি আলোর ছটা দেখা গিয়েছিল। যেটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ৬ বার বাংলাদেশে অবতরন করে আর উঠে যায়। আর সেই আলোর ছটা আসলে ছিল এলিয়েনদের একটি নভোযান।আলোর ছটাটি বিশ্লেষন করে এই তথটি বের করতে নাসার তিন বছর সময় লেগেছে।তারা চাইছে তারা এদেশে এই বিষয়ের উপর গোয়েন্দাগিরি করবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চান না দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে বিদেশীরা হস্তক্ষেপ করুক। তাই তিনি নিজের দেশের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় এই ব্যাপারে ইনকিউরি করতে চান। আর এই ঘটনা শুনে আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের উপর বেশ রুষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাই দেশের বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্হা করেছে। সব ছুটিতে থাকা সামরিক লোকদের দ্রুত ব্যারাকে যোগ দিতে বলেছে। আমাকে কালকেই চলে যেতে হবে। "
মিমের আব্বু বললেন, "তা তো বটেই দেশের বিপদে তোমাদের মত যুবকরা যদি পাশে না দাড়ায় তবে কেমন করে হবে। "মিমের আম্মু বেশ ভেঙে পড়েছেন, "তিনি বললেন যুদ্ধ টুদ্ধ বাধবে না তো আবার? । ভাইয়া বলল," না না আমাদের দেশে ওই ভিনগ্রহের মহাকাশ যানটি কেনো এসেছিল বা এর পেছনের রহস্যটা উদঘাটন করতে পারলেই আন্তর্জাতিক মহলকে রিপোর্ট করলে আর কোনো সমস্যা হবে না।
খাওয়া দাওয়া শেষে মিম নিজের রুমে গেলো। ও ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে লাগল। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল তা নিজেই জানে না। আজ ও কাল রাতের মত অদ্ভুত আর একটা স্বপ্ন দেখল। ও দেখল, "একটা লোক একটা গভীর বনের মধ্য দৌড়াচ্ছে। আর তার পেছনে আরো অনেকগুলো লোক দৌড়াচ্ছে। খানিক দূর যেয়ে একটা নদী পড়ল। লোকটা কিছু না ভেবে নদীতে ঝাপ দিল। একটা কুমির এসে লোকটাকে এক গালে খেয়ে ফেলল। এটা দেখার সাথে সাথে মিমের ঘুম ভেঙে গেল। ও পুরো ঘেমে গেছে এমন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে। ও কিছুতেই বুঝতে পারছে না প্রতিদিন এমন অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন ও কেনো দেখছে।
পরের দিন সকালে ওর ভাইয়া রওনা দিল। মিমেদের সবার মন খারাপ। আজ ওর কলেজে যেতেও মন চাইছে না। কিন্তু কলেজে গেলে সব বন্ধুদের সাথে দেখা হলে মনটা ভালো লাগবে এই ভেবে কলেজে গেল। মিম দেখল তুলি আজ ওকে দেখে কেমন মুচকি মুচকি হাসছে। মিমোর বেশ অসস্হি বোধ হল। ক্লাসের ঘন্টা দিলে সবাই ক্লাসে গেল।
ওদের প্রতিটা ক্লাসের পর মেয়েদেরকে বাইরে চলে আসতে হয়। আবার যখন পরের স্যার ক্লাসে যায় তখন তার সাথে মেয়েরা আবার ক্লাসে প্রবেশ করে। মিম বসেছিল ফার্স্ট বেঞ্চের মাঝের আসনে। সবগুলো ক্লাস ভালোই কাটল। লাস্টের ক্লাসটায় মিম যখন বাইরে থেকে এসে আবার ওর জায়গাতে বসল ও আবিষ্কার করল ও বেঞ্চের সাথে এটে গিয়েছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। এদিকে তুলির দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা হাসছে।
ওর বুঝতে বাকি থাকে না এই মেয়েটাই এই কান্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু ও এখন কি করবে। ক্লাসে স্যার রয়েছেন। ও চুপ করে বসে থাকে। এই স্যারের নাম মনির স্যার। মনির স্যারের কাছে মিম বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। কালকের টপিক্সের ফিডব্যাক করতে স্যার কাউকে কাউকে প্রশ্ন করছেন। মিম ভাবল প্রথমে না বসে শেষের দিকে বসলে এক কাজ হত। স্যারের নজর কিছুটা হলেও ফাকি দেওয়া যেত। এখন স্যার আবার আমাকে প্রশ্ন না ধরে বসে।স্যার এবার মিমেদের বেঞ্চের দিকে তাকাল।
তুলি তো মহাখুশি। স্যার সবার দিকে তাকিয়ে হুট করে স্নেহাকে প্রশ্নটা ধরল। মিম তো হাপ ছেড়ে বাচল। যাই হোক তুলির ইচ্ছা ছিল সবার সামনে মিমকে হেনস্তা করা কিন্তু তা আর হল না। বেশ রাগি মুড নিয়ে সে ক্লাসটা করল। মিমেরও বেশ রাগ হচ্ছে।
ক্লাস শেষে মিম ওর বান্ধবিদের বলে জামাটা নষ্ট করে বেঞ্চ থেকে রেহাই পেল। ওর বান্ধবীরা তুলির ওপর খেপে গেল। ওরা প্রতিশোধ নিতে চাইলে দয়ালু মিম না করল। একবার অপরাধেই কাউকে স্বাস্হি দিতে হবে না বলে দিল।
মিম বাসায় ফিরে ফ্রশ হয়ে নিল। ওর "অদ্ভুত আংটি" বইটা এখনো পুরোটা পড়া হয় নি। শেষের কিছু বাকি আছে। মিম বিকালে বইটা নিয়ে বসল। হঠাৎ বইএর পৃষ্ঠার একটা জায়গায় ওর চোখ আটকে গেল...............
চলবে, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,